পীরগঞ্জ টিটিসি'র অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৯ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১২:২৮ সময়
Share Tweet Pin it
[পীরগঞ্জ টিটিসি'র অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে]

পীরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই  তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি অব্যবস্থাপনা অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষের কথায় নয়, স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পান্না নিজেই প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করে থাকেন। অভিযোগে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় অসময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণার্থীদের গাড়ী নিয়ে ঘুরাঘুরি করে থাকেন তার স্ত্রী নাসরিন পান্না। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বহিরাগতদের নিয়ে গান আড্ডাও মেতে থাকেন অধ্যক্ষের স্ত্রী । তার স্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল  বাহিনী । অধ্যক্ষের  অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলার শিকার হন তিন সংবাদকর্মী । হামলার  ঘটনায় ৪ প্রশিক্ষকের নামে মামলাও করেছেন হামলার শিকার সংবাকর্মীরা । 
পূর্বের কর্মস্থল রংপুরের গঙ্গাচড়া টিটিসিতে থাকাকালীন সময়ে বিদেশগামী কর্মীদের (০৩) দিনের প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষের নামে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিভাগীয় মামলাও চলমান রয়েছে  । এসব অপকর্ম ঢাকতে প্রায় পূর্বের  কর্মস্থলে যান এই অধ্যক্ষ । সরেজমিনে সেসব অনিয়ম দূর্নীতির অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় পূর্বের কর্মস্থলে গিয়ে ২০২৩ সালের নানা ব্যয়ের ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুত করছেন অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম সেখানেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুতই টিটিসি ত্যাগ করেন। এবং স্বীকার করেন তার নামে মামলা চলমান রয়েছে । এ বিষয়ে অধ্যক্ষের সাথে কথা হলে তিনি  বলেন সমস্যা সমাধানের জন্যই গিয়েছিলাম তবে এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন তিনি।টিটিসিতে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ০২ টি গাড়ী  বরাদ্দ থাকলেও প্রশিক্ষণার্থীরা মাত্র একটি গাড়ী দিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরা এতে শিক্ষার্থীদের কাংখিত প্রশিক্ষণ ব্যহত হচ্ছে ।  প্রশিক্ষণার্থী বলছে একটি গাড়ী দিয়ে আমরা ট্রেইনিং নিচ্ছি এতে অনেক সমস্যাও হচ্ছে । অভিযোগ রয়েছে  কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই  গাড়ীটি  প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য  তৈলের বরাদ্দের টাকার তেল দিয়ে বগুড়া হতে পীরগঞ্জ এবং পীরগঞ্জ হতে বগুড়ায়  যাওয়া আসা করেন স্ত্রী সন্তানরা অথচ অধ্যক্ষের জন্য গাড়ী ও তেলের কোনো  বরাদ্দ নেই প্রতিষ্ঠানটিতে ।  মোটর ড্রাইভিং ট্রেডের অতিথি প্রশিক্ষক বাঁধনের সাথে কথা হলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন মাসে চার পাঁচবার যাতায়াত করেন প্রিন্সিপাল ও তার স্ত্রী পরিবার । অধ্যক্ষের  স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে  অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী নাসরিন পান্না বগুড়া ও বিভিন্ন জায়গা থেকে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে টিটিসিতে বিভিন্ন গানের আসর বসান । অথচ এসবের কোনো নিয়মই নেই সরকারি প্রতিষ্ঠানে । এসব বিষয়ে সকলেই অবগত হলেও চাকুরির ভয়ে কেউই কথা মুখ খুলতে সাহস পায় নি । তবে এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম। 
 এ ব‍্যাপারে  রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন 
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে দ্রুতই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।