পীরগঞ্জের মিঠিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডলের পরিবার সম্পর্কে অজানা কিছু কথা

৬ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ৪:১৭ সময়
Share Tweet Pin it
[পীরগঞ্জের মিঠিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডলের পরিবার সম্পর্কে অজানা কিছু কথা]

মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সবসময় সমাজের চোখে খারাপ বনানোর চেষ্ট করছে। তেমনি একজন ভালো মনের মানুষের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করছি। পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের সাবেক তিনবারের সফল চেয়ারম্যান মোঃ মুসা আলী মন্ডল। তিনি মাদারগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন। ১৯৯১ সালে মুসা আলী মন্ডল প্রথম চেয়ারম্যান থাকাকালীন  সময়ে রংপুর সার্কিট হাউজে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং তৎকালিন ধানের শীষের প্রার্থী সালেক সাহেবের পক্ষে কাজ করার জন্য দ্বায়িত্ব নেন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাকে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে উপহার হিসেবে মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নিজ তহবিল থেকে  মুসা আলী মন্ডল কে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং  তিনি বিএনপির থানা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সাহেবকে ১৯৯৩ সালে মাদারগঞ্জ কলেজের বিল বেতন করার জন্য স্ব-স্বরিরে কলেজ পরিদর্শন করান, এবং ১৯৯৩ সালেই কলেজের ভবন ও বেতন চুড়ান্ত করেন।  তারই ধারাবাহিকতায় বর্তামনে অত্র ইউনিয়নে ২০২২  সালের ৩১ জানুয়ারী  স্থানীয় নির্বাচনে মুসা আলী মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ডল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মুসা আলী মন্ডল ও তার যোগ্য সন্তান ফরহাদ মন্ডল মিঠিপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। 

 

বর্তমান মিঠিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন আমি ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।তবে বাবা মুসা আলী মন্ডল বিএনপির একজন সফল কর্মী হওয়ায় আমিও বিএনপি'র সমর্থক হিসেবে কাজ করেছি।  আমাকে নিয়ে যারা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহিন। আমার ও আমার বাবার জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরো বলেন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্জন করায় ২০১১ সালে অত্র কলেজে প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা ছায়াদৎ হোসেন বকুল ক্ষমতার জোরে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার বাবা(মুসা) বিএনপি করার দায়ে মাদারগঞ্জ ডিগ্রী কলেজর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যপদ বাতিল করেন এবং বর্তমানেও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যপদটি শুন্য রয়েছে । আমি চেয়ারম্যান হিসাবে শফৎ নেওয়ার পর প্রশাসনের কাছে বিএনপি হিসাবে চিহ্নিত করে এবং সকল দপ্তরের কাজকর্ম থেকে বঞ্চিত করেন। আবার ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই অসাধু ব্যক্তিরাই আবার আমাকে আওয়ামী লীগ  হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর কত বৈষম্যর শিকার করবে আমাকে ও আমার পরিবারকে তা জাতির কাছে জানতে চাই?