বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও তাদের দোসররা দেশের বিভিন্ন এরাকায় এখনও মাথা চাড়া দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এমন একজন হলেন- কথিত আওয়ামী লীগ সরকারের এক সময়ের দাপুটে চেয়ারম্যান পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি। একসময় তার ক্ষমতার দাপটের কারণে এলাকার মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারতো না। ছোট-বড়দের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ, অসম্মান আর স্বেচ্ছাচারিতাই ছিল যেন তার তার প্রশাসনের হাতিয়ার। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ই আগষ্ট থেকে নিয়মিত অফিস করেন না। বর্তমানে লালদিঘী বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ সিসি কামেরা গুলো জোরপূর্বক খুলে নিয়ে অফিস খানিকটা নির্জীব করে রেখেছেন। নিয়মিত অফিস না করায় তার অফিসের অবস্থাও বলার মত নয়। সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলমান থাকলেও রবিউল ইসলাম রবি সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করেও বহাল তবিয়তে আছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছেন নিজের ক্ষমতা। জনগণের সম্পদ অন্যায়ভাবে লুটপাট করে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার অর্জিত অবৈধ সম্পদ ব্যবহার করে অপশক্তির সম্পৃক্ততায় নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নিজের অবস্থান করে রেখেছেন ইস্পাতের মত শক্ত।