১৫ বছরের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যবস্থা স্বৈরতান্ত্রিক বা কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার। ব্যাপক আকার পেয়েছে দুর্নীতি; বাড়তে বাড়তে গোটা ব্যবস্থাকেই গ্রাস করেছে। শহর থেকে গ্রামের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য থেকে কোন প্রতিষ্ঠানই রেহাই পায়নি। রেহাই পায়নি গ্রামপর্যায়ের ক্ষুদ্র ক্লাব বা সমিতি গুলোও।
শর্তানুযায়ী ৩শতক জমির উপর ক্লাব সমিতি এর মাধ্যমে রেজ্রিষ্টেশন থাকতে হবে। কিন্তু দু:খের বিষয়, ওই সমস্ত ক্লাব/সমিতির যেনারা দায়িত্বে রয়েছেন তারাও সবাই আওয়ামী মহিলা লীগের পদে আছেন এবং স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। মহিলা অধিদপ্তর থেকে রেজ্রিষ্টেশন গ্রহণ করে এককালীন অনুদান হিসেবে প্রায় ৪০হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মস্মাৎ করেন। একই সংগঠনের মহিলাগন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গরু মোটাতাজাকরণ, গাভী পালনের ওপর ৭দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন মদনখালী ইউনিয় আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি শিরিনা আকতার জাফরপাড়ার সাধারণ সম্পাদিকা আছমা বেগম, হাসারপাড়ার ছালমা বেগম। মাগুড়া। রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ববিতা বেগম, সাধারণ সম্পাদিকা ফেরদৌসী বেগম, অঞ্জলি রাণী। চতরা ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি আছমা বেগম, শানেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা বেগম, রামনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি শাপলা বেগম ও সাধারণ সম্পাদিকা আদুরী বেগম। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা সাবেক কাউন্সিলর আন্জুয়ারা বেগম কুমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সুরাইয়া বেগম।