রংপুর পীরগঞ্জের মাদারগঞ্জ রুটে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অপ্রত্যাশিতভাবে ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, কামরুল হাসান প্রধান সাগর

১৭ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ৬:৩৪ সময়
Share Tweet Pin it
[রংপুর পীরগঞ্জের মাদারগঞ্জ রুটে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অপ্রত্যাশিতভাবে ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে]

 

 

রংপুরের পীরগঞ্জ বাসষ্ট্যান থেকে মাদারগঞ্জ রুটে  প্রায় ১ লক্ষের বেশি নিন্ম ও মধ্যেবিত্ত মানুষের চলাচলের বাহন হিসাবে পরিচিত ইজিবাইক,মিশুক,সিএনজি ও অটো রিক্সা ও ভ্যানের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে  হঠাৎ  মাইকিং করে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তথ্য নিয়ে যানাগেছে, একটি চক্রের ইন্ধনে মাইকিং এর মাধ্যমে এই ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। বাংলা ১৪৩২ সনের পহেলা বৈশাখ হইতে সরকারি বিধি মোতাবেক পীরগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য,হাটবাজার, ইজিবাইক /মিশুক, সিএনজি, লোড আনলোড এর টোল আদায়ের জন্য এক বছরের ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু পৌরসভার উন্নয়ন কাজগুলো ব্যাহত করার জন্য টোল আদায় বন্ধে ইজিবাইক ও মিশুক চালকেরা ঢাকা রংপুর মহাসড়ক  অবরোধসহ আন্দোলনের মুখে পৌরসভার প্রশাসনকে টোল আদায় বন্ধ ঘোষণা করাতে বাধ্য করেন । আর সেই সুজগে ঐদিনেই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যাত্রীবাহী পরিবহন গুলোর ভাড়া বৃদ্ধির মাইকিং করেন এবং ১৫ টাকার স্থলে ২০ ঘোষনা করেন শ্রমিক নেতারা। তবে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই মাইকিং করা এবং ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক—সে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ যাত্রীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যদি এই ভাড়া বৃদ্ধিকে নীরবে মেনে নেওয়া হয়, তাহলে একে একে বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে গোডাউন, বাজার, গুলশান মোড়, ইউএনও অফিস, থানা মোড়, বালুয়া হাট এবং কুইন্স পার্ক—সবখানেই বাড়তি ভাড়ার অজুহাতে ১০, ২০, ৩০, এমনকি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় শুরু হবে। এতে সাধারণ যাত্রীরা আরও বেশি জিম্মি হয়ে পড়বে।

বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলেন, "যদি ভাড়া বাড়াতেই হয়, তাহলে পৌরসভার উন্নয়নকল্পে ইজিবাইক/মিশুক প্রতি ২০ টাকা টোল প্রদান করাও বাধ্যতামুলক। 

তারা আরও জানান, অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা একপ্রকার জনস্বার্থবিরোধী। অবিলম্বে এই রুটের ভাড়া বাড়ানো এবং মাইকিং এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়া  উচিত। ভুক্তভুগী জনসাধারণ উপজেলা  কর্তৃপক্ষের কাছে এর মুলহোতাকে খুজেবের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।