পীরগঞ্জের চতরা হাটে জায়গা দখলের হিড়িক বেচাকেনা হয় কলেজ মাঠ এবং রাস্তায়।

নিউজ ডেস্ক

১৩ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ১২:৩৯ সময়
Share Tweet Pin it

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চতরাহাট। যেখানে পীরগঞ্জ উপজেলাসহ দিনাজপুর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জনসাধারণ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করেন। হাটের নামে প্রায় ৯.৮০একর জমি থাকা স্বত্বেও হাটটিট জায়গা সংকুচিত হয়ে পরেছে। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে হাট রক্ষা করতে উচ্ছেদ অভিযান জরুরি হয়ে পরেছে বলে মনে করেন হাটুরেরা। এখানে বেপরোয়াভাবে হাটের জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। যেকারণে মালিকানা জমি লিজসহ হাটের চ্বতুর দিকে সড়কের উপর নিয়মিতভাবে হাট বসানো হচ্ছে।  সড়কে হাট বসানোর ফলে তিব্র যানযট নাকাল হাটুরে ও পথচারীরা। সিএস রেকর্ডে রাজা সূর্য কুমার গুহ রায়ের ছেলে সৌরিন্দ্র গুহ রায়ের জমিদারি পরগনা কাবিলপুরের বিভিন্ন দাগে ২২.০১একরের মধ্যে জেএল নং ১৭৯ খতিয়ান নং ০১ মৌজা ইকলিমপুরের ৯.৮০একরে চতরা হাট গড়ে ওঠে। যা পরবর্তীতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ পক্ষে কালেক্টর রংপুর নামে এসএ রেকর্ড চূড়ান্তভাবে সম্পাদিত প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। নব্বই দশকের পর থেকে এক শ্রেনীর লোভী মানুষ ঘরবাড়ি, দোকানপাট নির্মান করে হাটের ৯.৮০একর জমি দখলে নিতে থাকে । বর্তমানে ৭একর জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে। অবশিষ্ট ২.৮০একর জায়গায় চলছে হাটের কার্যক্রম। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন জানান পাকা বাড়ী ও দোকান নির্মান করে দখলকৃত হাটের জমি পুনরুদ্ধার ২০০৭, ২০০৮সালে সহকারী কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন ভূয়া অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ জমি পুনরুদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ধিরে ধিরে উদ্ধারকৃত জমি আবারও দখলদাররা দখল নিয়ে নেয়। ২০২১সালে সহকারী কমিশনার সনজয় কুমার মোহন্ত অভিযান আরাম্ভ করলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখে নি। রাজনৈতিক গেরাকলে শক্তভাবে অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় হাটের জমি আজও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং সুযোগ পেলেই কেউ না কেউ দখলে নিচ্ছে। বর্তমানে হাটের ছয়টি শেড ও অনেকের দখলে। হাটের জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবির ফলে হাটের ড্রেনেজ সুবিধাও নাজুক হয়ে পরেছে। চতরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান ২০২৩সালের ২৮শে আগস্ট দাখিলকৃত প্রতিবেদনে আইয়ুব আলী, নূর আলম, নওয়াব আলী, আঃ সামাদ, আঃগফুর, সোলেমান, মজিবর রহমান, জাকারিয়া আহমেদ, এমরান, মর্জিনা বেগম, খোকা মেম্বার বাড়ি নির্মান করে হাটের জমি দখলে নিয়েছে। এছাড়াও সেলিম মিয়া, খালেক মন্ডল, সালকে মন্ডল, সুমন, আলম,বিকাশ চন্দ্র, লুৎফর রহমান সহ তিনশো আটজন আধাপাকা ঘর নির্মান করে দোকান আড়ৎ অফিস বসিয়ে হাটের জায়গা দখলে রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৫সালের মার্চ মাসে প্রতিবেদনে দখলদারদের সংখ্যা চারশতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। অবশিষ্ট ফাকা জায়গা প্রায়ই দখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি হাটের অন্তর্ভুক্ত নদী শ্রেনীর জমিও অবৈধ দখলে। এ অবস্থায় হাটের পরিবেশ বাঁচাতে উচ্ছেদ ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পরেছে। গত সালের হাটইজারাদার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান চতরা হাট ৯.৮০একর জমির উপর স্থাপিত হলেও সীমিত জমির উপর হাট বাসানো হচ্ছে। এলাকার কিছু লোকজন প্রভাব খাটিয়ে অলিগলিতে প্রায় তিনশো পঞ্চাশ টি দোকান ঘর নির্মান করেছেন। তারা অধিকাংশ ঘরগুলো ভাড়ায় পরিচালনা করছেন। এছাড়াও হাটের জমিতে সোনালী ব্যাংক সহ চল্লিশ টি স্থানে আলিশান বাসাবাড়ি করেছেন এলাকার প্রভাবশালী লোকজন। বিশেষ করে কাচামাল বিক্রেতারা হাটের স্থান থেকে পাচশো মিটার দূরত্বে চতরা ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও ধাপের হাট চতরার সড়কের দুপাশে বেচাকেনা করছে। এতে হাট সংলগ্ন এলাকার গড়ে ওঠা দুটি তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি দাখিল মাদ্রাসা এতিমখানা ও কিন্ডারগার্টেনসহ চৌদ্দটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী চরম দূর্ভোগের পাশাপাশি ছোট ছোট দূর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম জানান "আমরা সরকারি জমি উদ্ধারে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহন করবো।